June 30, 2024, 12:36 pm

সংবাদ শিরোনাম
চিলমারীতে আবারও শিক্ষক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ দুর্নীতিরোধে দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রণয়ন এবং কমপক্ষে যাবজ্জীবন শাস্তির দাবিতে বেনজীর-মতিউর-এর কুশপুত্তুলিকা দাহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর মোবাইল যুগে প্রবেশের জন্য বাণিজ্যিক ফাইভজি অ্যাডভান্সের ওপর হুয়াওয়ের গুরুত্বারোপ পটুয়াখালীতে ২৬ হাজার ৮ শত ৮০ পিচ ক্যান নিষিদ্ধ বিয়ার সহ আটক-৩ রংপুর বিভাগের সমবায় কর্মকর্তা ও সমবায়ী কর্তাদের নৈরাজ্যে কোটি কোটি টাকা লোপাট-দিশেহারা সাধারণ সমবায়ী গোয়াইনঘাটে হাফেজ্জী হুজুর রহঃ সেবা ফাউন্ডেশনের ঢেউটিন বিতরণ কুড়িগ্রামের ভুরুমারীতে ভিনদেশী রঙের দুই সন্তানকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বাবা মা নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর কান্তা হত্যার পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মামুনকে গ্রেফতার করলো রৌমারী থানা পুলিশ পটুয়াখালীতে ১ হাজার ২’শত কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ৬ হাজার নারিকেল চারা বিতরন সান্তাহার পৌরসভার ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা

দুপচাঁচিয়া এমপির ভাগ্নের পরিচয় দিয়ে  আইনকে তোয়াক্কা না করে  চলছে তিন ফসিল জমি ও পুকুর খননের মহাউৎসব ভাগ্নে রিপন ও মিল্টনের খুঁটির জোর কথায়। 

গোলজার রহমান স্টাফ রিপোর্টারঃ- বগুড়া দুপচাচিয়া  আইনকে তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকিদিয়ে এমপির পরিচয় বহনকরে ভুমি দস্যু  রিপন ও মিল্টনের নেতৃত্বে   চলছে পুকুর খননের মহা উৎসব মাটি যাচ্ছে ইট ভাটার পেটে।তিন ফসলী উর্বরতা জমি, উঁচু ভিটা কিংবা ক্ষুদ্র জলাশয় কোন কিছুই বাদ পরছেনা। মাটি কেটে পরিণত করা হচ্ছে প্রকাণ্ড পুকুর।  দিনে এবং রাতে সমান তালে বিভিন্ন জায়গায় চলছে অবৈধভাবে মাটি কাঁটার এই মহা উৎসব এবং ড্রেজার মেশিন বসিয়ে  নদী থেকে  উত্তলন করা হচ্ছে তলদেশ থেকে বালু  এর ফলে একদিকে যেমন এলাকার উর্বরতা আবাদী জমির পরিমান কমছে অন্যদিকে হুমকির মুখে পরছে বসত বাড়ি। দুপচাচিয়া  উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, দুপচাচিয়া সদর   ইউনিয়নের আলোহালী গ্রামে চোখে পরে মাটি কার দৃশ্য। অবৈধভাবে পুকুর ও জোমি খনন করছেন তারা, এরা হলো
রিপন পিতা মনসুর আলী সাং দুপচাঁচিয়া সদর ইউনিয়নের পশ্চিম আলোহালী। এদের প্রায় ঐএলাকায়, ভেকু দিয়ে চলছে অবৈধভাবে মাটি কাঁটা ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে চলছে বালু উত্তলনের মহা উৎসব। এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকা বাসি , অথচ সরকারি গেজেটে প্রকাশিত মাটির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণও হ্রাসকরণ ২০১৩ সালে ৫৯নং আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি ইট প্রস্তত করার উদ্দেশ্যে কৃষি জমি হতে মাটিকাটা বা সংগ্রহ করে ইটের কাচামাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না, যদি কোনো ব্যক্তি আইনের এই  ধারা লঙ্ঘন করেন তাহলে তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসরের কারাদণ্ড বা ২ (দুই)  লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় পক্ষ দন্ডেদন্ডিত হবেন। এলাকা বাশীর অভিযোগ দিন রাত মাটি কাটা চলে। মাটি পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ভারী ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে দুপচাচিয়া  উপজেলার প্রায়  রাস্তা ঘাট  ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছ, এছাড়াও গাড়ির শব্দ ও ধুলাবালির কারণে বাহিরে বের হওয়া যায় না, খারা পার করে ১৫ থেকে ২০ফিট গভীর গর্ত করার  ফলে আশেপাশের আবাদী জমিও বসত বাড়ি ভাংগনের হুমকিতে পরেছে । জমির মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা প্রকাশ্যে কিছু বলার সাহস পান না, মাঝে মধ্যে  পুলিশ এসে একটু হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়  কিন্তু তাতেও  কোনো প্রতিকার হয় না,এবিষয়ে একজন কৃষক  বলেন, আবাদি জমি কেটে গভির করা হচ্ছে ।এবং বর্তমান নতুন কিছু  চেয়ারম্যান হয়েছে তারা  দলের প্রভাবে  মাটি কেটে ইটের ভাটায় নিয়ে জাচ্ছেন। এই সব কথা বলতে গেলে আমার উপরে অত্যাচার হবে অনেক বার পুলিশকে জানিয়েছি কোন লাভ নেই  বরং নিজের খতি।সাংবাদিক দের তিনি আরো বলেন  সারা দিন রাত স্কেভেটর ও ট্রাকের শব্দে ঘুমাতে পারি না।  সন্তানেরা পরতে পারে না কৃষক তা দুঃখের সাথেই এই কথা গুলো বলেন। অপর দিকে ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন অনুজায়ী ৩ ফসলী জমি থেকে মাটি কাটা অবৈধ।  এছারাও বসত বাড়ি থেকে এক কিলোমিটারে মধ্যে মাটি কাটার বৈধতা নেই।  চাষের জমি খনন করে মাটি কাটার জন্য প্রশাসনের অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে ভুমি দস্যুরা বলেন, লিখিত অনুমতি না থাকলেও তিনি বিষয়টি দুপচাচিয়া  উপজেলার প্রশাসন কে মৌখিক ভাবে অবগত করেছেন, এবং আমার মামা এই এলাকার এমপি আমাদের এতকিছুর প্রয়োজন নেই  । একই দাবি একাধিক মাটি ব্যবসায়িদের।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক  একাধিক মাটি ব্যবসায়ী বলেন, এসব কাজে প্রশাসনের লিখিত কনো অনুমতি থাকেনা। তবে তারা মৌখিক অনুমতি নিয়েই মাটি কাটতে থাকেন। তবে নিরুপায় হয়েই তারা এ কাজ করেন বলে তাদের দাবি। তারা আরো বলেন ফসলী জমির মাটি না পেলে ইট ভাটা গুলো বন্ধ হয়ে  যাবে। তা ছাড়া মানুষ বসৎ ভিটা উচু করার জন্য মাটি কিনে। এ বিষয়ে কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর মাটি কেটে আবাদি জমি ধ্বংস করা হচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই দেশে আইন কানুন বলে কিছু নাই না কি। প্রথম বার মাটি ব্যবসায়ীরা জমি সংস্কারের নামে মাটি কেটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। পরের বছেরেই আবার সেই জমিকে পুকুর দাবি করে গভির ভাবে খনন করা হয়। এর ফলে আশেপাশের জমির পানি থাকে না। আমদের চাষের খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাঝে মধ্যে  প্রশাসন জরিমানা করলেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় মাটি কাটা বন্ধ হচ্চে না। তাই খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী দুপচাচিয়া এলাকা  বাসির।
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর